সমালোচনার জবাবে যা বললেন সানার স্বামী
বলিউড অ’ভিনেত্রী সানা খানকে বিয়ের পর থেকে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন গুজরাটের মুফতি আনাস সাঈদ। বিভিন্ন সময় ট্রল হচ্ছে, সম্মুখিন হতে হচ্ছে নানা প্রশ্নের। ধ’র্মপ্রা’ণ মু’সলিম’দের কাছে প্রসংসা পেলেও নেটিজেনরা তাকে ছেড়ে কথা বলছে না।
একদিক থেকে আনাস সাঈদকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, কেন তিনি আলেম হয়েও একজন অ’ভিনেত্রী-মডেলকে বিয়ে করেছেন? অন্যদিকে, কেন একজন প্রতিভাবান অ’ভিনেত্রীকে জোর করে শোবিজ ত্যাগ করিয়ে বিয়ে করলেন?
এসব নিয়ে শুরুর দিকে নিশ্চুপ ছিলেন মুফতি আনাস সাঈদ। মাঝে বললেন, কেউ যদি তার আপন রাস্তা ছেড়ে রবের পথে হাটেন, তাকে সঙ্গী করে নেওয়া উচিৎ। আনাসের এই শান্ত বাণী যেন বিষিয়ে তুলছিল নেটিজেনদের।
সম্প্রতি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তার আর সানার ছবি নিয়ে ট্রলের মাত্রা বাড়িয়ে দেন বেশ কিছু ভা’রতীয়। এবার আর নিজের রাগ দমিয়ে রাখতে পারেননি আনাস।
ভা’রতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি নিউজ‘র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের একটি ছবি শেয়ার করে ট্রলকারীদের ধমকে দিয়েছেন আনাস সাঈদ। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘কারও পাপ বা অ’প’রাধ দেখলে নিজের চোখ ঢেকে ফেল, তার জন্য দোয়া কর, পৃথিবীর লোকের পাপ ঢাকা দাও। তাতে কেয়ামতের সময় আল্লাহ তোমাদের পাপ ঢেকে ফেলবেন। আমিন।’
এর আগে সানাকে কেন বিয়ে করেছেন, এমন প্রশ্নে জিনিউজকে আনাস সাঈদ বলেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যে, আমি সানাকে বিয়ে করতে চাই এবং তিনি আমা’র প্রার্থনা শুনেছিলেন। আমা’র মনে হয় আমি যদি অন্য কাউকে বিয়ে করতাম, হয়তো এত খুশি হতাম না। সানা নিজে সম্পূর্ণ নয়, তবে ও আধ্যাত্মিক, ক্ষমাশীল এবং স্বচ্ছ হৃদয়ের মানুষ। আমি সর্বদা এমন একটি মেয়েকে চেয়েছিলাম, যে আমা’র পরিপূরক এবং আমাকে সম্পূর্ণ করবে।’
যে সময় তিনি এ কথাগুলো বলেন, সে সময় সানার বলিউড ত্যাগ তথা একজন নারীর কর্মত্যাগ নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, সানাকে কী’ বাধ্য করেছিলেন কাজ ছেড়ে দিতে? এর উত্তরে আনাস বলেন, ‘আমি কখনোই সানাকে নির্দিষ্টভাবে জীবনযাপনের জন্য বাধ্য করিনি।’
বিয়ের পর স্বামী মুফতি আনাস সাঈদের সঙ্গে নানা ছবি-ভিডিও পোস্ট করে যাচ্ছেন নিয়মিত। আর সানার সেসব পোস্ট মুহূর্তেই ভাই’রাল হয়ে যায়। কয়েকদিন আগে সানা হানিমুনের ছবি পোস্ট করেন। হানিমুন করতে ভূস্বর্গ কা’শ্মীরে গেছেন সানা খান। এর আগে স্বামীর সঙ্গে ‘আয়াতুল কুরসি’ পাঠ করে নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন সানা, যা রীতিমতো ভাই’রাল।