রাজ্য জুড়েই নেমেছে শীতের পারদ। শুক্রবার রাত থেকেই জাঁকিয়ে শীত পড়েছে সর্বত্র। আর শীতে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা লাগে হাত আর পায়েরক পাতাতে। গরম জামায় শরীর গরম হলেও পায়ের পাতা কিছুতেই গরম হতে চায় না। এই পায়ের পাতা যতক্ষণ ঠান্ডা থাকে ততক্ষণ বেশ শীত লাগে। লেপ-কম্বলেও আরাম হয় না। তবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের হাতের তালু বেশি ঠান্ডা থাকে। কারণ জানেন কি? রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে হাতের তালু ঠান্ডা হয়ে যায়। আর তা গরম করতে দীর্ঘ সময় লাগে। এছাড়াও যাঁদের রক্ত সঞ্চালন কম, তাঁদ্রও খুব তাড়াতাড়ি হাত আর পায়ের চেটো ঠান্ডা হয়ে যায়। আর শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি থাকলেও ঠান্ডা বেশি লাগে। দেখে নিন কীভাবে হাতের তালু গরম রাখবেন।
হার্টের পক্ষে ভালো এরকম খাবার খান
হার্ট এবং ফুসফুস এই দুই আমাদের শরীরের খুব গুরুত্বপূর্ণ দুটি অঙ্গ। আর তাই এই দুটি অঙ্গকে সুস্থ রাখতেই হবে। ঠিকঠাক রক্ত সঞ্চালন হচ্ছে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে। আর তাই প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় ফল, সবজি, মাছ, বাদাম, এসব অবশ্যই রাখুন। ক্যালশিয়ামের পরিমাণ ঠিক রাখতে চলতে পারে ডার্ক চকোলেট। এছাড়াও স্ন্যাক্সে অঙ্কুরিত ছোলা, মুগের চাট বানিয়ে খান।
মোজা পরে ঘুমোতে যান
রাতে শুতে যাওয়ার আগে ভালো করে গরম জলে পা ধুয়ে মোজা পরে নিন। এতে শরীর একটু বেশিই গরম থাকবে। আর শীতে আমরা সবচেয়ে অবহেলা করি পাকে। তাই পা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পরিষ্কার করে ক্রিম লাগান নিয়মিত। পাঁচ মিনিট ফুট ম্যাসাজ করলে রক্ত চলাচল ভালো হবে। ঘুমও আসবে।
সঠিক গ্লাভস বাছুন
বেশি ঠান্ডা পড়লে অবশ্যই হাতে গ্লাভস রাখুন। বাড়ির বাইরে বেরোলে তো অবশ্যই রাখবেন। তবে একটু দেখে গ্লাভস কিনবেন। গ্লাভস পরে হাত যাতে স্লিপ না খায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। নইলে বাইক চালাতে সমস্যা হয়। আর গ্লাভস পরে রাতে ঘুমোলে হাতও ভালো থাকে।
মশলা খান
ভারতীয় মশলার এমনিই অনেক গুণ রয়েছে। আর তাই ঠান্ডায় শরীর সুস্থ রাখতে রান্নায় ধনে, জিরে, আদা, গোলমরিচ, হলুদ এসব অবশ্যই ব্যবহার করুন। বিশেষত গোলমরিচ। গোলমরিচ শরীরকে খুবই গরম রাখে।
গরম খাবার ও মাখন খান
মাখন খুব বেশি যেমন শরীরের পক্ষে খারাপ তেমনই প্রতিদিন একটু করে বাটার খাওয়া শরীরের পক্ষেও খুব প্রয়োজনীয়। রুটি বা ভাতের সঙ্গে গরম আলুসেদ্ধ মাখন ও গোলমরিচ গুঁড়ে দিয়ে মেখে খেতে পারেন। এছাড়াও বারে বারে আদা দেওয়া চা, গরম স্যুপ, মধু-গোলমরিচ দেওয়া কালো কফি এসব চলতেই পারে।