যে আইনে ক্ষ’মতা বাড়ল স্ত্রীদের
ব’য়স্ক মানুষ সিনিয়র সিটিজেনস অ্যাক্টের সুযোগ নিয়ে ছেলের স্ত্রীদের বাড়ি থেকে উৎখাত করতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। খবর হিন্দুস্থান টাইমস’র।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচূড়, ইন্দু মালহোত্রা ও ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
এই নির্দেশের ফলে নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি পাবেন অনেক না’রী যারা তাদের শ্বশুর-শাশুড়ির স’ঙ্গে বি’বাদেরত। দুই মাস আগে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে যদি স্বা’মী-স্ত্রী এমনও বাড়িতে থাকে যেখানে স্বা’মীর কোনও সম্পত্তির ও’পর আইনি অধিকার নেই, তবুও স্ত্রী’কে উৎখাত করা চলবে না।
দুটি আইন-প্রোটেকশন অব উইমেন ফ্রম ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট ২০০৫ ও মেনটেনেন্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অফ পেরেন্টস অ্যান্ড সিনিয়র সিটিজেনস অ্যাক্ট ২০০৭- কে খতিয়ে দেখে বিচারপতিরা এ নির্দেশ দেন।
বিচারপতিরা আইনগুলোকে খতিয়ে দেখে বোঝেন যে ২০০৭ আইনের ধারা তিন অন্য সব আইনের ও’পর প্রয়োজ্য। সেটা ব্যবহার করেই এক ব’য়স্ক দম্পতি বেঙ্গালুরুর বাড়ি থেকে নিজেদের ছেলের বউকে বের করে দেয়। সেই সি’দ্ধান্ত সঠিক বলে জানায় কর্নাটক হাইকোর্ট ও তারপর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন সেই না’রী।
তার পক্ষে নির্দেশ দিয়ে বিচারক বেঞ্চ আদেশ দেন, সিনিয়র সিটিজেনস অ্যাক্টের তৃতীয় ধারা ব্যবহার করে কোনও এক বাড়িতে থাকার ক্ষেত্রে না’রীদের অধিকারকে খর্ব করা যায় না।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, যে দুটি আইনই একস’ঙ্গে কার্যকরী হতে হবে, কোনও একটি ব্যবহার করে অন্যটি খাটো করা চলবে না।
আপাতত ওই না’রীকে এক বছর বাড়ি থেকে বের করতে পারবে না তার স্বা’মী বা শ্বশুর-শাশুড়ি যতদিন না তিনি প্রোটেকশন অব উইমেন ফ্রম ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট ২০০৫-এর আওতায় মা’মলা করার সুযোগ পাচ্ছেন।