বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দুর্দান্ত বোলিং করে প্রথমবারের মত জাতীয় দলে জায়গা করে নেন হাসান মাহমুদ। তবে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে অ’ভিষেক আলো ছড়িয়ে আলাদা ভাবে সবার নজরে এসেছেন দারুণ গতির ফাস্ট বোলার হাসান মাহমুদ। তিনি এক সময় ক্রিকেটার হওয়ার জন্য মাদ্রাসা ফাঁকি দিয়ে ক্রিকেট খেলতেন। শখের বসে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন লক্ষ্মীপুরের এ পেসার!
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হাসান দুই ম্যাচে গতি আর সুইয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। এর আগে গত বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪২.৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে ১৩ ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ।
এদিকে হাসান লক্ষ্মীপুর পৌরসভা’র ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মক’র্তা মো. ফারুক ও গৃহিণী মাহমুদা খাতুন রানীর ছোট ছে’লে। তারা দুই ভাই ও তিন বোন। ভবিষ্যতে সফলতা কামনা করে তার বাবা-মা লক্ষ্মীপুরসহ দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
গত ২০১২ সালের শেষদিকে লক্ষ্মীপুর জে’লা ক্রিকেট একাডেমিতে কোচ মনিরের সঙ্গে হাসানের পরিচয় হয়। মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে হাসানের ক্রিকেট খেলা শুরু হয়েছে। বিকেএসপিতে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে তার বোলিংয়ে গতি বেড়ে যায়। এরপর নিউজিল্যান্ডে ২০১৮ বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেন হাসান মাহমুদ।
হাসানের বাবা ফারুক জানান, পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলায় হাসানের আগ্রহ ছিল। কিছু কিছু সময় খেলার মাঠ থেকে সে পরীক্ষা দিতে যেত। মাদ্রাসা ফাঁকি দিয়ে সে ক্রিকেট খেলত। আশা করছি সে ভালো বোলিং করে সে দেশের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখবে।