নভেম্বরে খুলছে স্কুল, হবে বার্ষিক পরীক্ষাও!
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
৮ দফা ছুটি পর চলতি বছর স্কুল-কলেজ আদৌ খোলা হবে কি না এমন সংশয়ের মধ্যে শীত নাড়া দিচ্ছে। নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ শীতে করোনার সংক্রমন বেড়ে যেতে পারে এমন শষ্কাও রয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেও সংক্রমন বাড়ায় ফের বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে সরকারকে সাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। যার বেশিরভাগই সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। আর যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নভেম্বরে খোলা হয় সেক্ষেত্রে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৫% সিলেবাসের ওপর ভিত্তি করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি এখনো হয়নি। নভেম্বর মাসে স্কুল খুললে মাত্র ৩০ দিন সময় পাবে শিক্ষার্থীরা। এতে সিলেবাসের ১৫% পড়ানো সম্ভব হবে।
এদিকে ক্ষতি পোষাতে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে এপ্রিল মাস থেকে চলে আসা টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন ও মোবাইলে পাঠদান চালু থাকলেও খুব বেশি কার্যকর হয়নি। শিক্ষার্থীদের অর্ধেকই ছিল এ পাঠদানের বাইরে। এতে চলতি বছর শিক্ষার যে ক্ষতি হওয়া তা হয়ে গেছে। তাই এ মুর্হুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে রাজি নয় সরকার।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, চলতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে কি না, সব কিছুই নির্ভয় করছে করোনার পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তার উপর।
স্কুল খোলার পর যদি আবার বন্ধ করতে হয়, সেটি চেয়ে বরং পরিস্থিতি দেখে একবারেই খোলা উত্তম। তিনি বলেন, এ নিয়ে নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছি। তবে কোন মাসে খুললে কতটুকু পাঠদান করা যাবে বা না খুলতে পারলে কি করা হবে সেই প্ল্যান আমাদের রয়েছে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না খোলার সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়টি খুব বেশি সম্পূক্ত না হওয়ায় সরকার এখানে কোন চাপ নিতে রাজি নয়। অন